তামিমকে দেখতে হাসপাতালে সাকিবের বাবা-মা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম ইকবালকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা ও মা শিরিন আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

হরিহর আত্মা বলতে যা বোঝায়,তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের মধ্যকার সম্পর্কও একসময় তেমনই ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তো দুজনের সম্পর্ক পৌঁছে গিয়েছিল তলানিতে। তবে গতকাল তামিম ইকবাল খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বরফ গলেছে।

তামিমকে বন্ধু ও ভাই সম্বোধন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন দেশের বাইরে থাকা সাকিব। এরপর আজ তামিমকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাকিবের বাবা-মা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর একটার দিকে চিকিৎসাধীন তামিমকে দেখতে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে উপস্থিত হন সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা এবং মা শিরিন আক্তার।

গতকাল বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুরের বিপক্ষে মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে টসও করতে নেমেছিলেন তামিম। কিন্তু অস্বস্তি বোধ করায় আর ফিল্ডিংয়ে নামেননি। অস্বস্তি বৃদ্ধি পেলে নিজের গাড়িতেই পার্শ্ববর্তী সাভারের কেপিজে হাসপাতালে যান এই তারকা। এরপর পুনরায় মাঠে ফিরে আসেন। তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে বিকেএসপিতে হেলিকপ্টারও উড়িয়ে আনা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে আর হেলিকপ্টারেও ওঠানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফের কেপিজে হাসপাতালে নেয়া হয়।

চিকিৎসকরা ২২ মিনিট সিপিআর এবং ৩টি ডিসি শক দিয়ে তামিমকে চিকিৎসা দেয়ার মত অবস্থায় নিয়ে আসেন। এরপর তার এনজিওগ্রাম করা হয় এবং ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনিতে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলেও এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন তিনি।

হার্ট অ্যাটাক করে তামিম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার সুস্থতা কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন অনেকেই। এই তালিকায় দেশের ক্রিকেটাররা তো আছেনই, লাসিথ মালিঙ্গার মতো লঙ্কান কিংবদন্তিও আছেন। আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানও।

গতকাল রাতে এক পোস্টে সাকিব লেখেন, ‘আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই, কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি, অনেক স্মৃতি রয়েছে, আর সবসময় চাইব আমাদের এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।’

তামিমের সুস্থতা কামনা করে তার এক সময়ের বন্ধু সাকিব লিখেছেন, ‘তামিম, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় শক্তি। তোমার দ্রুত সুস্থতা ও মাঠে ফিরে আসার জন্য দোয়া করছি। ইনশাআল্লাহ, তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।’ “তামিমের জন্য আপনার দোয়াই হবে, আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। দোয়া করবেন—আমার ভাই তামিম যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারে।’

আরও খবর